★দ্য দা ভিঞ্চি কোড।(রিভিউ)
★দ্য দা ভিঞ্চি কোড।
বইয়ের নামঃ দ্য দা ভিঞ্চি কোড
লেখকঃ ড্যান ব্রাউন,
অনুবাদক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
দেশ : যুক্তরাষ্ট্র
ভাষা : ইংরেজি
প্রকাশকাল: মূলত মার্চ ১৮, ২০০৩ (যুক্তরাষ্ট্র) এবং জুলাই ১, ২০০৩ (যুক্তরাজ্য), বাংলায় অনুবাদিত হয় এবং প্রথম প্রকাশ আগস্ট ২০০৫

পূর্ববর্তী বই অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস
পরবর্তী বই দ্য লস্ট সিম্বল
গ্রন্থস্বত্ব: লেখক, অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুবাদক নিজেই
প্রকাশনীঃ ডাবলডে (যুক্তরাষ্ট্র) এবং ব্যান্টাম বুক্স (যুক্তরাজ্য), বাংলাদেশে প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী
মুদ্রণ: সুপার গ্রিন প্রেস (বাংলা)
পৃষ্ঠা : ৪৪৮
মুদ্রিত মূল্য: ৩০০ টাকা বিনিময়
গ্রাফিক্স : দি গ্রাফিক্স জোন
ISBN No : 984-8659-12-9
ঘরানাঃ ধর্ম, রোমাঞ্চ, অপরাধ, রহস্য উপন্যাস
প্রাপ্তিস্থানঃ বাতিঘর প্রকাশনী
★লেখক পরিচিতিঃ
-------------------------------------------------------
ড্যান ব্রাউন (জুন ২২, ১৯৬৪) একজন মার্কিন রোমাঞ্চকর উপন্যাস লেখক, যাকে নিয়ে লিখতে গেলে লেখা যায় বহুকিছু। তার সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে বলতে গেলে পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন তোলা উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড রচনার জন্য তিনি সবচেয়ে পরিচিত যা ২০০৩সালে প্রকাশিত এবং সর্বাধিক বিক্রী হওয়া উপন্যাস। ব্রাউনের উপন্যাসের মূল উপজীব্য হচ্ছে বর্ণজটীয় সংকেতায়ন বা ক্রিপ্টোগ্রাফি, রহস্যময় সংকেত ও এদের দ্বৈতমানে। তাঁর উপন্যাসে এ ব্যাপারগুলো ঘুরে ফিরে বারবার আসে। বর্তমানে ব্রাউনের লিখা উপন্যাস ৪৫ টিরও অধিক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।ডিজিটাল ফোরট্রেস (১৯৯৮), অ্যাঞ্জেল্স অ্যান্ড ডেমন্স (২০০০),ডিসেপশন পয়েন্ট (২০০১),দ্য দা ভিঞ্চি কোড (২০০৩), লস্ট সিম্বল, ২০০৯ সালে এবং ইনফার্নো ২০১৩সালের ১৪ মে প্রকাশিত।
★অনুবাদকের কথাঃ
--------------------------------------------
সবচেয়ে কম বয়সে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া ইংরেজ লেখক রুডইয়ার্ড ক্লিপলিংয়ের ‘সত্য সব সময় জনপ্রিয় হয়না, জনপ্রিয়ও সব সময় সত্য নয়।’ এই কোটেশনটি বাংলায় অনুবাদকৃত বইটিতে অনুবাদক নিজেই সংযোজন করেছেন। ২০০৫ সালে বইটি প্রকাশিত হলেও ১২টি বছর পর অনুবাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেছিলেন, ''আজ পর্যন্ত কোন পাঠকের চোখে এটা পড়েছে কিনা জানি না, তবে আমাকে কেউ বলেনি, ‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড’-এ ক্লিপলিংয়ের উক্তিটি মূল বইতে নেই!''
জনপ্রিয় না-হলেও এটাই সত্য...
যাইহোক, ২০০৫ সালে যখন ভিঞ্চি কোড অনুবাদ করলাম তখন বইয়ের শুরুতে অনেকটা ‘প্রিঅ্যম্বেল’-এর মতো করে আমার প্রিয় এই উক্তিটি জুড়ে দিয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছিল ক্লিপলিংয়ের এই উক্তিটি গল্পের সাথে যায়। জানি না ক-জন পাঠক জানে, এই উক্তিটি আসলে মূল বইতে ছিলই না!
মজার ব্যাপার হলো ড্যান ব্রাউন ল্যাংডন সিরিজের ‘দ্য লস্ট সিম্বল’থেকে এরকম কোটেশন জুড়ে দিতে শুরু করলে পাঠক ধরেই নিয়েছে ‘ভিঞ্চি কোড’-এর উক্তিটিও বোধহয় ড্যান ব্রাউনেরই দেয়া! '
★পটভূমিঃ
-----------------------------------------------
-----------------------------------------------
দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসের এমন এক সত্য যা জানাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন করে, প্রতিষ্ঠিত ধর্মমতের ভিত্ত কেপে যাবে। সত্যটি লালন করে আসছে যে গুপ্ত সংঘ-সেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো বরেণ্য ব্যক্তি।অন্যদিকে উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন 'ওপাস দাই' সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই ঘটে যায় এমন সব ঘটনা যার ঘটনাচক্রে একটি মারাত্মক মিশনে জড়িয়ে পড়েন হারভার্ডের সিম্বোলজিস্টের এক প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন।পাঠকের মনোজগত নাড়িয়ে, হৃদস্পন্দন কাঁপিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বইটি।এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এর ধর্মীয় প্রতীক বিদ্যার অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন ও সোফি নেভুর প্যারিস এর ল্যুভ জাদুঘরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে।একটি দুই হাজার বছরের পুরনো ভয়াবহ গোপন তথ্য জেনে যান এবং হলি গ্রেইল এর সন্ধানে পদে পদে বিপদের মুখোমুখি হতে থাকেন।যার ফলশ্রুতিতে বেরিয়ে আসে যিশুর সাথে ম্যারি ম্যাগদালিন এর বিয়ে হয়েছে কি হয়নি এ নিয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা এবং 'প্রায়োরি অব সাইওন' এবং 'ওপাস দাই' এর মধ্যকার চলমান এক দ্বন্দ্বের কথা।
★কাহিনী সংক্ষেপঃ
------------------------------------------------------
বইয়ের শুরুতেই লিখা- “All descriptions of artwork, architecture, documents, and secret rituals in this novel are accurate.” অর্থাৎ, “এ উপন্যাসে বর্ণিত সকল চিত্রকলা, স্থাপত্য, নথি এবং গোপন প্রথা সত্য।”
আছি প্যারিসে। সময়টা রাত ১০ : ৪৬।ল্যুভ্র জাদুঘর। জাদুঘরের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে এক রাতে জাদুঘরের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হন সাইলাস নামের একজন ক্যাথলিক সন্ন্যাসীর হাতে, যে কিনা টিচার নামের এক গুপ্ত পরিচয়ের লোকের জন্য কাজ করে। জ্যাক সনিয়ের কাছ থেকে কি স্টোন এর অবস্থান জানতে চেয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। আর এই কি স্টোনই হল হলি গ্রেইল খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ও আসল ছক। জ্যাক সনিয়ে মারা যাওয়ার আগে কোনো এক ইঙ্গিতে প্রকাশে তিনি তার নিজের শরীরকে ভিটরুভিয়ান ম্যানের মত আকৃতি করে রাখেন এবং কিছু গুপ্ত সংকেত এঁকে যান। পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে এবং রবার্ট ল্যাংডনকে ডেকে পাঠায় সংকেতের রহস্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে। ঘটনাক্রমে রবার্ট ল্যাংডনের কাছে পুলিশের ক্যাপ্টেন বেজু ফশে সাহায্য চান। এদিকে পুলিশের ক্রিপ্টোগ্রাফার সোফি নেভু ল্যাংডনকে জানান যে সে জ্যাক সনিয়ে তার দাদু হন। যদিও তারা অনেক বছর ধরে যোগাযোগ করেন না। সোফি ল্যাংডনকে জানান যে সনিয়ে যে গুপ্ত সংকেত লিখে গিয়েছিলেন তার একটি লাইনে লেখা ছিল
''ওহ ড্রাকোনিয়ান ডেভিল, O lame saint. PS, রবার্ট ল্যাংডনকে খুজে বের কর'।"
জ্যাক সনিয়ে কেন চাইছিলেন যে ল্যাংডন তার গুপ্ত সংকেতের অর্থ উদ্ঘাটন করুক? কেনই বা চিনি এমন একটি স্টোন লুকিয়ে রেখেছিলেন? কিভাবে সেই সংকেতের জট খুলতে সেখানে তারা খুঁজে পায় একটি অদ্ভুত বাক্স।যদিও বা পাওয়া যায় অদ্ভুত ক্রিপটেক্স। কিন্তু তাদের হতাশ করে সেই ক্রিপটেক্সটার ভেতরে ছোট আরও একটা ক্রিপটেক্স, আরও একটা ধাঁধাঁ। তারা বুঝতে পারে যে এই ধাঁধাঁর সমাধানের জন্য তাদেরকে শেষপর্যন্ত ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবিতে স্যার আইজাক নিউটনের সমাধিতে যেতে হবে। আর এভাবেই আপনি কিভাবে যেন থ্রিলেরের গাড়িতে চড়ে সাংকেতিক ধাঁধার জালের ঘূর্ণিপাকে আটকে যাবেন।সেই জাল ছাড়ানোর আগ পর্যন্ত যেন শান্তি নেই, নাওয়া-খাওয়া বন্ধ।
কিন্তু সত্যিই কি পৃথিবীবাসী জানতে পেরেছিলো আসল সত্যটি? নাকি তা রয়েই যাবে বেড়াজালে। বইটির পড়তে পড়তে শ্বাসরুদ্ধকর আকর্ষণ ধরে রেখেই শেষটাতে উত্তর মিললেও মিলতে পারে।
★চরিত্রঃ
------------------------------------------
ছকে বাঁধা কেন্দ্রীয় চরিত্রই নয় বরং উল্লেখিত প্রত্যেকটি চরিত্র তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্ববহ।লেখকের মূল উদ্দেশ্য চরিত্রের মাধ্যমে ধরে রাখতে লেখক বদ্ধপরিকর ও সিদ্ধহস্ত।
রবার্ট ল্যাংডন, সোফি নেভু, জ্যাক সনিয়ে, বেজু ফশে, সাইলাস, ম্যানুয়েল আরিঙ্গারোসা, সিস্টার সানডৃন, আর্দ্রেঁ ভার্নেট, লেই টিবিং, রেমি লেগালুদেচ্, জেরোমে কোলেত, ম্যারি শভেল সেন-ক্লেয়ার, পামেলা গেটাম চোখে পড়ার মতো সব চরিত্র। ধাঁধা মেলাতে হলে নামগুলো মনে আপনাকে রাখতেই হবে।
★আলোচনা ও সমালোচনাঃ
------------------------------------------------
দ্য দা ভিঞ্চি কোড ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৮০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় শুধু তাই-ই নয়, বইটি বাংলা সহ প্রায় ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়। Washington Post এর রিভিউতে বলা হয়েছে 'এই বই যদি আপনার নাড়িস্পন্দন বাড়াতে না পারে, তবে আপনার উচিত ডাক্তার দেখানো।' তাছাড়া পৃথিবীর মানুষের মধ্যে জরিপ করা হয়েছিল কেও যদি
মঙ্গলে যেতে চায়, তাহলে তারা পৃথিবী থেকে কী নিয়ে যাবে? যে একটি বইয়ের নাম সবচেয়ে বেশি উঠে এসেছিল তার নাম 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড'। Denver Post এর ভাষায় 'থ্রিলার উপন্যাস এর চেয়ে ভালো হতেই পারে না'।
অস্ট্রেলিয়ান পাঠকদের নিয়ে জরিপে ২০১০ সালে একটি জরিপ করা হয়
যেখানে সেরা ১০০ টা বইয়ের নামের মাঝে উঠে আসে ড্যান ব্রাউনের দ্য দা ভিঞ্চি কোড। জার্নালিস্ট জ্যানেট ম্যাসলিন বলেন, ''কোড ব্রেকিং, বিভিন্ন হেঁয়ালি থেকে মুল তথ্য বের করা,এসব কিছু থেকে বলা যায়, এটা ব্লকবাস্টার পারফেকশন এবং শুধুমাত্র একটাই শব্দ;ওয়াও।''
কিন্তু বহুল আলোচনা ও প্রশংসায় সমাদৃত বইটির বইটির রয়েছে বিরাট সমালোচনাও।আছে বহু দাবি মিথ্যার খেসারত। ক্যাথলিক আর খ্রিষ্টান কমিউনিটির পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক টাইমসের লেখক Laura Miller একে 'ঐতিহাসিক ধাপ্পার উপর নির্ভরশীল' উপন্যাস বলে
উল্লেখ করেন।'
বিভিন্ন সমালোচকরা ড্যান ব্রাউনকে ইতিহাস জাল করা, বিকৃত করা এবং কল্পনাপ্রসূত ইতিহাসের নির্মাতা বলে আখ্যা দেন।তাঁর এই প্রতারণাকে বিংশ শতকের সেরা প্রতারণাও আখ্যা দেয়া হয়। কিন্তু ২০০৩
সালে ব্রাউন এ উপন্যাসের সকল তথ্য, এবং ব্যাকগ্রাউন্ডকে সত্যি বলে দাবী করেন।
ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এ বইয়ের।
★প্যারোডি ও চলচ্চিত্রঃ
----------------------------------------
২০০৫ সালে যথাক্রমে দ্য ভা ডিঞ্চি কড ও দ্য আস্তি স্পুমান্তে কোড নামে অ্যাডাম রবার্টস এবং টবি ক্লেমেন্টস্ বইটির প্যারডি রচনা করেন।উপন্যাসটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কলম্বিয়া পিকচার্স চলচ্চিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১৯ মে, ২০০৬ সালে মুক্তি দেয়। এর চিত্রনাট্য লেখেন আকিভা গোল্ডস্ম্যান এবং পরিচালনা করেন অস্কার পুরস্কার বিজয়ী রন হাওয়ার্ড। চলচ্চিত্রটিতে রবার্ট ল্যাংডনের ভূমিকায় অভিনয় করেন টম হ্যাংকস। ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে এটি আমেরিকা থেকেই প্রায় সাত কোটি সত্তর লক্ষ ডলার এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় বাইশ কোটি চল্লিশ লক্ষ ডলার আয় করে।
কিছু বিশেষ বিষয়াবলী ও সহায়ক বইঃ
ভিট্রুভিয়ান ম্যান. ফিবোনাচ্চি অনুক্রম, প্রাচীন দেবী, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির শিল্পকর্মের ধাঁধা, নিউটন আর হুগোর জটিল রূপ, শয়তান পূজা, প্যাগানিজম, জুরিখ ডিপোজিটরি, ল্যুভ মিউজিয়াম, ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবি, পেন্টাকল দেবী, জটিল সকল অঙ্ক কষ্টে হয়তো আপনাকে ম্যাথমেটিশিয়ান হতে হবে না, বরং বানিয়ে ছাড়বে। তবে সহায়ক কিছু গ্রন্থ চাইলে পড়তে পারেন। যেমন The Templar Revelation (1997), The Holy Blood and the Holy Grail (1982), The Knight Templar (1999)।
★পাঠ প্রতিক্রিয়া:
----------------------------------------------
আপনার ভেতরে যদি রহস্য নিয়ে খেলার উদ্দীপনা থাকে তাহলে এই বইটি আসলেই মগজকে নাড়িয়ে দেবার মতোই একখানি বই।লেখক Roger Ebert এর তার রিভিউতে বলেন " আমি প্রত্যেকদিন একটু সময়ের জন্য হলেও দ্য ভিঞ্চি কোড পড়ি, নিজেকে এটা মনে করানোর জন্য, জীবন অনেক ছোট, আর সেখানে দ্য ভিঞ্চি কোডের মত বই একজীবনে সবসময় আসে না।" ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত এ বই
প্রত্যেকবার পড়তেই মনে হয়, এই বুঝি নতুন করে শুরু করছি। এই বইয়ের রেটিং করা দু:সাধ্য এবং বইটির নেশার ঘর কাটিয়ে অন্য কাজে যাওয়া সম্ভব না।পৃথিবী'র ইতিহাসের কিছু বোমা ফাটানো সত্য লেখা বইটা তে। মাথা খারাপ করার মত মৌলিক থৃলার। পড়ে দেখতে পারেন।
রেটিং-
------------------------
★★★★আমার চোখে এর রেটিং ৪.৮/৫
বইয়ের নামঃ দ্য দা ভিঞ্চি কোড
লেখকঃ ড্যান ব্রাউন,
অনুবাদক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
দেশ : যুক্তরাষ্ট্র
ভাষা : ইংরেজি
প্রকাশকাল: মূলত মার্চ ১৮, ২০০৩ (যুক্তরাষ্ট্র) এবং জুলাই ১, ২০০৩ (যুক্তরাজ্য), বাংলায় অনুবাদিত হয় এবং প্রথম প্রকাশ আগস্ট ২০০৫

পূর্ববর্তী বই অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস
পরবর্তী বই দ্য লস্ট সিম্বল
গ্রন্থস্বত্ব: লেখক, অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুবাদক নিজেই
প্রকাশনীঃ ডাবলডে (যুক্তরাষ্ট্র) এবং ব্যান্টাম বুক্স (যুক্তরাজ্য), বাংলাদেশে প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী
মুদ্রণ: সুপার গ্রিন প্রেস (বাংলা)
পৃষ্ঠা : ৪৪৮
মুদ্রিত মূল্য: ৩০০ টাকা বিনিময়
গ্রাফিক্স : দি গ্রাফিক্স জোন
ISBN No : 984-8659-12-9
ঘরানাঃ ধর্ম, রোমাঞ্চ, অপরাধ, রহস্য উপন্যাস
প্রাপ্তিস্থানঃ বাতিঘর প্রকাশনী
★লেখক পরিচিতিঃ
-------------------------------------------------------
ড্যান ব্রাউন (জুন ২২, ১৯৬৪) একজন মার্কিন রোমাঞ্চকর উপন্যাস লেখক, যাকে নিয়ে লিখতে গেলে লেখা যায় বহুকিছু। তার সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে বলতে গেলে পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন তোলা উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড রচনার জন্য তিনি সবচেয়ে পরিচিত যা ২০০৩সালে প্রকাশিত এবং সর্বাধিক বিক্রী হওয়া উপন্যাস। ব্রাউনের উপন্যাসের মূল উপজীব্য হচ্ছে বর্ণজটীয় সংকেতায়ন বা ক্রিপ্টোগ্রাফি, রহস্যময় সংকেত ও এদের দ্বৈতমানে। তাঁর উপন্যাসে এ ব্যাপারগুলো ঘুরে ফিরে বারবার আসে। বর্তমানে ব্রাউনের লিখা উপন্যাস ৪৫ টিরও অধিক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।ডিজিটাল ফোরট্রেস (১৯৯৮), অ্যাঞ্জেল্স অ্যান্ড ডেমন্স (২০০০),ডিসেপশন পয়েন্ট (২০০১),দ্য দা ভিঞ্চি কোড (২০০৩), লস্ট সিম্বল, ২০০৯ সালে এবং ইনফার্নো ২০১৩সালের ১৪ মে প্রকাশিত।
★অনুবাদকের কথাঃ
--------------------------------------------
সবচেয়ে কম বয়সে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া ইংরেজ লেখক রুডইয়ার্ড ক্লিপলিংয়ের ‘সত্য সব সময় জনপ্রিয় হয়না, জনপ্রিয়ও সব সময় সত্য নয়।’ এই কোটেশনটি বাংলায় অনুবাদকৃত বইটিতে অনুবাদক নিজেই সংযোজন করেছেন। ২০০৫ সালে বইটি প্রকাশিত হলেও ১২টি বছর পর অনুবাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেছিলেন, ''আজ পর্যন্ত কোন পাঠকের চোখে এটা পড়েছে কিনা জানি না, তবে আমাকে কেউ বলেনি, ‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড’-এ ক্লিপলিংয়ের উক্তিটি মূল বইতে নেই!''
জনপ্রিয় না-হলেও এটাই সত্য...
যাইহোক, ২০০৫ সালে যখন ভিঞ্চি কোড অনুবাদ করলাম তখন বইয়ের শুরুতে অনেকটা ‘প্রিঅ্যম্বেল’-এর মতো করে আমার প্রিয় এই উক্তিটি জুড়ে দিয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছিল ক্লিপলিংয়ের এই উক্তিটি গল্পের সাথে যায়। জানি না ক-জন পাঠক জানে, এই উক্তিটি আসলে মূল বইতে ছিলই না!
মজার ব্যাপার হলো ড্যান ব্রাউন ল্যাংডন সিরিজের ‘দ্য লস্ট সিম্বল’থেকে এরকম কোটেশন জুড়ে দিতে শুরু করলে পাঠক ধরেই নিয়েছে ‘ভিঞ্চি কোড’-এর উক্তিটিও বোধহয় ড্যান ব্রাউনেরই দেয়া! '
★পটভূমিঃ
-----------------------------------------------
-----------------------------------------------
দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসের এমন এক সত্য যা জানাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন করে, প্রতিষ্ঠিত ধর্মমতের ভিত্ত কেপে যাবে। সত্যটি লালন করে আসছে যে গুপ্ত সংঘ-সেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো বরেণ্য ব্যক্তি।অন্যদিকে উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন 'ওপাস দাই' সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই ঘটে যায় এমন সব ঘটনা যার ঘটনাচক্রে একটি মারাত্মক মিশনে জড়িয়ে পড়েন হারভার্ডের সিম্বোলজিস্টের এক প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন।পাঠকের মনোজগত নাড়িয়ে, হৃদস্পন্দন কাঁপিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বইটি।এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এর ধর্মীয় প্রতীক বিদ্যার অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন ও সোফি নেভুর প্যারিস এর ল্যুভ জাদুঘরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে।একটি দুই হাজার বছরের পুরনো ভয়াবহ গোপন তথ্য জেনে যান এবং হলি গ্রেইল এর সন্ধানে পদে পদে বিপদের মুখোমুখি হতে থাকেন।যার ফলশ্রুতিতে বেরিয়ে আসে যিশুর সাথে ম্যারি ম্যাগদালিন এর বিয়ে হয়েছে কি হয়নি এ নিয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা এবং 'প্রায়োরি অব সাইওন' এবং 'ওপাস দাই' এর মধ্যকার চলমান এক দ্বন্দ্বের কথা।
★কাহিনী সংক্ষেপঃ
------------------------------------------------------
বইয়ের শুরুতেই লিখা- “All descriptions of artwork, architecture, documents, and secret rituals in this novel are accurate.” অর্থাৎ, “এ উপন্যাসে বর্ণিত সকল চিত্রকলা, স্থাপত্য, নথি এবং গোপন প্রথা সত্য।”
আছি প্যারিসে। সময়টা রাত ১০ : ৪৬।ল্যুভ্র জাদুঘর। জাদুঘরের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে এক রাতে জাদুঘরের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হন সাইলাস নামের একজন ক্যাথলিক সন্ন্যাসীর হাতে, যে কিনা টিচার নামের এক গুপ্ত পরিচয়ের লোকের জন্য কাজ করে। জ্যাক সনিয়ের কাছ থেকে কি স্টোন এর অবস্থান জানতে চেয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। আর এই কি স্টোনই হল হলি গ্রেইল খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ও আসল ছক। জ্যাক সনিয়ে মারা যাওয়ার আগে কোনো এক ইঙ্গিতে প্রকাশে তিনি তার নিজের শরীরকে ভিটরুভিয়ান ম্যানের মত আকৃতি করে রাখেন এবং কিছু গুপ্ত সংকেত এঁকে যান। পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে এবং রবার্ট ল্যাংডনকে ডেকে পাঠায় সংকেতের রহস্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে। ঘটনাক্রমে রবার্ট ল্যাংডনের কাছে পুলিশের ক্যাপ্টেন বেজু ফশে সাহায্য চান। এদিকে পুলিশের ক্রিপ্টোগ্রাফার সোফি নেভু ল্যাংডনকে জানান যে সে জ্যাক সনিয়ে তার দাদু হন। যদিও তারা অনেক বছর ধরে যোগাযোগ করেন না। সোফি ল্যাংডনকে জানান যে সনিয়ে যে গুপ্ত সংকেত লিখে গিয়েছিলেন তার একটি লাইনে লেখা ছিল
''ওহ ড্রাকোনিয়ান ডেভিল, O lame saint. PS, রবার্ট ল্যাংডনকে খুজে বের কর'।"
জ্যাক সনিয়ে কেন চাইছিলেন যে ল্যাংডন তার গুপ্ত সংকেতের অর্থ উদ্ঘাটন করুক? কেনই বা চিনি এমন একটি স্টোন লুকিয়ে রেখেছিলেন? কিভাবে সেই সংকেতের জট খুলতে সেখানে তারা খুঁজে পায় একটি অদ্ভুত বাক্স।যদিও বা পাওয়া যায় অদ্ভুত ক্রিপটেক্স। কিন্তু তাদের হতাশ করে সেই ক্রিপটেক্সটার ভেতরে ছোট আরও একটা ক্রিপটেক্স, আরও একটা ধাঁধাঁ। তারা বুঝতে পারে যে এই ধাঁধাঁর সমাধানের জন্য তাদেরকে শেষপর্যন্ত ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবিতে স্যার আইজাক নিউটনের সমাধিতে যেতে হবে। আর এভাবেই আপনি কিভাবে যেন থ্রিলেরের গাড়িতে চড়ে সাংকেতিক ধাঁধার জালের ঘূর্ণিপাকে আটকে যাবেন।সেই জাল ছাড়ানোর আগ পর্যন্ত যেন শান্তি নেই, নাওয়া-খাওয়া বন্ধ।
কিন্তু সত্যিই কি পৃথিবীবাসী জানতে পেরেছিলো আসল সত্যটি? নাকি তা রয়েই যাবে বেড়াজালে। বইটির পড়তে পড়তে শ্বাসরুদ্ধকর আকর্ষণ ধরে রেখেই শেষটাতে উত্তর মিললেও মিলতে পারে।
★চরিত্রঃ
------------------------------------------
ছকে বাঁধা কেন্দ্রীয় চরিত্রই নয় বরং উল্লেখিত প্রত্যেকটি চরিত্র তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্ববহ।লেখকের মূল উদ্দেশ্য চরিত্রের মাধ্যমে ধরে রাখতে লেখক বদ্ধপরিকর ও সিদ্ধহস্ত।
রবার্ট ল্যাংডন, সোফি নেভু, জ্যাক সনিয়ে, বেজু ফশে, সাইলাস, ম্যানুয়েল আরিঙ্গারোসা, সিস্টার সানডৃন, আর্দ্রেঁ ভার্নেট, লেই টিবিং, রেমি লেগালুদেচ্, জেরোমে কোলেত, ম্যারি শভেল সেন-ক্লেয়ার, পামেলা গেটাম চোখে পড়ার মতো সব চরিত্র। ধাঁধা মেলাতে হলে নামগুলো মনে আপনাকে রাখতেই হবে।
★আলোচনা ও সমালোচনাঃ
------------------------------------------------
দ্য দা ভিঞ্চি কোড ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৮০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় শুধু তাই-ই নয়, বইটি বাংলা সহ প্রায় ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়। Washington Post এর রিভিউতে বলা হয়েছে 'এই বই যদি আপনার নাড়িস্পন্দন বাড়াতে না পারে, তবে আপনার উচিত ডাক্তার দেখানো।' তাছাড়া পৃথিবীর মানুষের মধ্যে জরিপ করা হয়েছিল কেও যদি
মঙ্গলে যেতে চায়, তাহলে তারা পৃথিবী থেকে কী নিয়ে যাবে? যে একটি বইয়ের নাম সবচেয়ে বেশি উঠে এসেছিল তার নাম 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড'। Denver Post এর ভাষায় 'থ্রিলার উপন্যাস এর চেয়ে ভালো হতেই পারে না'।
অস্ট্রেলিয়ান পাঠকদের নিয়ে জরিপে ২০১০ সালে একটি জরিপ করা হয়
যেখানে সেরা ১০০ টা বইয়ের নামের মাঝে উঠে আসে ড্যান ব্রাউনের দ্য দা ভিঞ্চি কোড। জার্নালিস্ট জ্যানেট ম্যাসলিন বলেন, ''কোড ব্রেকিং, বিভিন্ন হেঁয়ালি থেকে মুল তথ্য বের করা,এসব কিছু থেকে বলা যায়, এটা ব্লকবাস্টার পারফেকশন এবং শুধুমাত্র একটাই শব্দ;ওয়াও।''
কিন্তু বহুল আলোচনা ও প্রশংসায় সমাদৃত বইটির বইটির রয়েছে বিরাট সমালোচনাও।আছে বহু দাবি মিথ্যার খেসারত। ক্যাথলিক আর খ্রিষ্টান কমিউনিটির পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক টাইমসের লেখক Laura Miller একে 'ঐতিহাসিক ধাপ্পার উপর নির্ভরশীল' উপন্যাস বলে
উল্লেখ করেন।'
বিভিন্ন সমালোচকরা ড্যান ব্রাউনকে ইতিহাস জাল করা, বিকৃত করা এবং কল্পনাপ্রসূত ইতিহাসের নির্মাতা বলে আখ্যা দেন।তাঁর এই প্রতারণাকে বিংশ শতকের সেরা প্রতারণাও আখ্যা দেয়া হয়। কিন্তু ২০০৩
সালে ব্রাউন এ উপন্যাসের সকল তথ্য, এবং ব্যাকগ্রাউন্ডকে সত্যি বলে দাবী করেন।
ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এ বইয়ের।
★প্যারোডি ও চলচ্চিত্রঃ
----------------------------------------
২০০৫ সালে যথাক্রমে দ্য ভা ডিঞ্চি কড ও দ্য আস্তি স্পুমান্তে কোড নামে অ্যাডাম রবার্টস এবং টবি ক্লেমেন্টস্ বইটির প্যারডি রচনা করেন।উপন্যাসটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কলম্বিয়া পিকচার্স চলচ্চিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১৯ মে, ২০০৬ সালে মুক্তি দেয়। এর চিত্রনাট্য লেখেন আকিভা গোল্ডস্ম্যান এবং পরিচালনা করেন অস্কার পুরস্কার বিজয়ী রন হাওয়ার্ড। চলচ্চিত্রটিতে রবার্ট ল্যাংডনের ভূমিকায় অভিনয় করেন টম হ্যাংকস। ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে এটি আমেরিকা থেকেই প্রায় সাত কোটি সত্তর লক্ষ ডলার এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় বাইশ কোটি চল্লিশ লক্ষ ডলার আয় করে।
কিছু বিশেষ বিষয়াবলী ও সহায়ক বইঃ
ভিট্রুভিয়ান ম্যান. ফিবোনাচ্চি অনুক্রম, প্রাচীন দেবী, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির শিল্পকর্মের ধাঁধা, নিউটন আর হুগোর জটিল রূপ, শয়তান পূজা, প্যাগানিজম, জুরিখ ডিপোজিটরি, ল্যুভ মিউজিয়াম, ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবি, পেন্টাকল দেবী, জটিল সকল অঙ্ক কষ্টে হয়তো আপনাকে ম্যাথমেটিশিয়ান হতে হবে না, বরং বানিয়ে ছাড়বে। তবে সহায়ক কিছু গ্রন্থ চাইলে পড়তে পারেন। যেমন The Templar Revelation (1997), The Holy Blood and the Holy Grail (1982), The Knight Templar (1999)।
★পাঠ প্রতিক্রিয়া:
----------------------------------------------
আপনার ভেতরে যদি রহস্য নিয়ে খেলার উদ্দীপনা থাকে তাহলে এই বইটি আসলেই মগজকে নাড়িয়ে দেবার মতোই একখানি বই।লেখক Roger Ebert এর তার রিভিউতে বলেন " আমি প্রত্যেকদিন একটু সময়ের জন্য হলেও দ্য ভিঞ্চি কোড পড়ি, নিজেকে এটা মনে করানোর জন্য, জীবন অনেক ছোট, আর সেখানে দ্য ভিঞ্চি কোডের মত বই একজীবনে সবসময় আসে না।" ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত এ বই
প্রত্যেকবার পড়তেই মনে হয়, এই বুঝি নতুন করে শুরু করছি। এই বইয়ের রেটিং করা দু:সাধ্য এবং বইটির নেশার ঘর কাটিয়ে অন্য কাজে যাওয়া সম্ভব না।পৃথিবী'র ইতিহাসের কিছু বোমা ফাটানো সত্য লেখা বইটা তে। মাথা খারাপ করার মত মৌলিক থৃলার। পড়ে দেখতে পারেন।
রেটিং-
------------------------
★★★★আমার চোখে এর রেটিং ৪.৮/৫
No comments