বই রিভিউ-3:10 am.(নিক পিরোগ)


হেনরি বিনসের কথা মনে আছে তো? অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত সেই লোকটি যে ২৩ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকে!
হেনরি বিনসের প্রতিবেশী ক্যালি ফ্র্যাইগের খুনের তদন্ত করার সময় পুলিশ এজেন্ট ইনগ্রিডের সাথে হেনরির পরিচয় হয়। নতুন বান্ধবী আর বিড়াল ল্যাসিকে নিয়ে ভালোই সময় কাটছিল হেনরি বিনসের। হঠাৎ একটা ইমেইল তাকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করে। রীতিমতো বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়।
হেনরির যখন ৬ বছর বয়স তখন তার মা তাকে ছেড়ে চলে যায়। সে এতদিন জানতো তার মা "গ্লোবাল জিওলোজিস্ট আনলিমিটেড" কোম্পানিতে চাকরি করে। মায়ের খোঁজে হেনরি "এএসটি" নামক তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেয় তার মা স্যালি বিনস'কে খুঁজতে। "এএসসি" থেকে আসা মেইলের মাধ্যমে সে জানতে পারে তার মা মারা গেছে এবং সে একজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ছিল। হেনরি তার মা সম্পর্কে অজানা বিভিন্ন কথা শুনে সে তার বাবার সরণাপন্ন হয়।
হেনরির বাবা তাকে জানায় তার মা স্যালি বিনস "সিআইএ" তে কাজ করতো। সে গুপ্তচর ছিল। বিভিন্ন তথ্য একীভূত করার পর হেনরি দিশেহারা হয়ে পড়ে। সে সিন্ধান্ত নেয় তার মায়ের অতীত সম্পর্কে জানবে।
প্রেসিডেন্টের দেওয়া বিশেষ কার্ডের ক্ষমতা ব্যবহার করে সে "সিআইএ" প্রধানের সাথে দেখা করে। বান্ধবী ইনগ্রিডের সাহায্যে আরো অনেক তথ্য জোগাড় করতে থাকে। রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হয়। দিনে ১ ঘণ্টা জেগে থাকা হেনরি কি পাবে তার মায়ের সন্ধান? তার এই অদ্ভুত রোগের পিছনে তার মায়ের কোন সংযোগ আছে কি?
প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও রহস্য নিয়ে এগিয়ে যাবে যাবে হেনরি বিনসের অভিযান রোলার কোস্টার গতিতে। যে অভিযানের প্রতিটি মুহূর্ত শিহরণ জাগাবে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া -
নিক পিরোগের হেনরি বিনস সিরিজের দ্বিতীয় বই "থ্রি টেন এ এম"। বাংলাতে অনুবাদ করেছেন সালমান হক। চলুন বইটি পড়ে আমার ভালোলাগা মন্দলাগা আপনাদের জানাই। প্রথমে মন্দ দিয়ে শুরু করছি।
বিড়াল ল্যাসির সাথে হেনরির কথা বলার বিষয়টা কেমন অদ্ভুতুড়ে! বলা যায় এভাবে বইয়ের লেখা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আরো তথ্য বা ঘটনার সমাবেশ করে লেখা বৃদ্ধি করতে পারতো। তাতে রহস্য আরো জমজমাট হতো। অনুবাদের ক্ষেত্রে বলব, বানান ভুল চোখে পড়েছে। বইয়ের সম্পাদনা আরেকটু ভালো করলে বেশ হতো।
প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বের গল্পও দারুণ লেগেছে। কিছু এডাল্ট কনটেন্ট ছিল যা থাকা স্বাভাবিক। গল্প হঠাৎ করে নতুন মোড় নিয়ে পাঠকের ভাবনায় পরিবর্তন আনে যা থ্রিলারের বৈশিষ্ট্য। অনুবাদ বরাবরের মতো সাবলীল। সর্বোপরি বেশ লেগেছে।
"থ্রি এ এম" পড়ার পর "থ্রি টেন এ এম" পড়লে গল্পটা বুঝতে সুবিধা হবে।
ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৩/৫

No comments

এক চিলতে রোদ্দুর।

খুব সাবধানে পায়ের আওয়াজ বাঁচিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো সুচেতনা। পবিত্র ওপাশ ফিরে এখনও ঘুমাচ্ছে। বাথরুমের লাইট জ্বেলেই দুফোঁটা ইউরিন ফেললো প্...

Powered by Blogger.