পিশাচ_সংসার।(2)

পিশাচ_সংসার।(2)

পিশাচ_সংসার ।
---------------------------
লেখক~মাসুদ রানা।
---------------------------
★★★  [২য় পর্ব]




          ★আজ থেকে ১০ বছর আগের কথা......

★আকসারা ইসলাম মায়া নামের একটা মেয়ে ছিলো। যে শুধু নিজের কাছেই একজন লেখিকা ছিলো। সে প্রচুর পরিমাণ হরর গল্প পড়তো এবং সে নিজেই হরর গল্প লিখতে শুরু করে। তার লেখা বেশির ভাগ হরর গল্প গুলোই হতো মানুষ খেকো পিশাচদের নিয়ে। সে নিজের হাতে তার ডাইরিতেই গল্প গুলো লিখতো। তার গল্পগুলোতে ভয়ের মাত্রা একটু অন্যরকমই থাকতো। তার ডায়েরী মাঝেমধ্যে তার বন্ধুদের পড়তে দিতো গল্পগুলো কেমন হয়েছে তা জানতে। তবে কয়েক পৃষ্ঠা পড়েই তার বন্ধুরা ভয়ে আর পড়তে পারতো না। একদিন মায়া ভাবলো তার লেখা গল্পগুলো দিয়ে একটা বই বের করবে। তাই তার লেখা গল্পগুলোর ডায়েরী নিয়ে সে বিভিন্ন প্রকাশনিতে যায় তার বই প্রকাশের জন্য। তবে তার হরর গল্প পড়ে প্রকাশনির মালিকেরা তাকে পাগল, সাইকো বলে অপমান করে। এরপর সে অনেকগুলো প্রকাশনিতে ডায়েরীগুলো নিয়ে যায় তবে সব প্রকাশনিতে একইভাবে মায়াকে পাগল সাইকো বলে তারিয়ে দেয়। এরপর মনবল ভেঙে যায় মায়ার লেখালেখির প্রতি।

মায়া আরিয়ান আহমেদ নামে একটা ছেলেকে অনেক ভালোবাসতো। তবে আরিয়ান অনেক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা ছেলে ছিলো। আরিয়ানের এই পৃথিবীকে আপন কেউ বেঁচে নেই। আরিয়ানের পৈত্রিকসুত্রে পাওয়া শুধু একটা বাড়ি রয়েছে। যার নাম বিলাস বাংলো।
কিন্তু তার বাড়িটা শহর থেকে অনেক দুরে এবং গ্রামের অনেক ভেতরে হওয়ায় তা এখন মুল্যহীন। তার বাড়ির পাশেই আবার ভয়ংকর জঙ্গল। আরিয়ান তার বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দুরেই একটা প্রাইভেট কম্পানীতে কেরাণীর পদে কাজ করতো। বেতন অনেক সামান্য।

তাই মায়ার পরিবার আরিয়ানকে কিছুতেই মায়ার সাথে মেনে নিতে পারে না। মায়ার অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক করতে থাকে। মায়া এবং আরিয়ান দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলো তাই মায়া তার পরিবারের সাথে সম্পর্ক শেষ করে দিয়ে আরিয়ানের বিলাস বাংলোতে চলে যায় বাকিটা জীবন আরিয়ানের সাথে কাটানোর জন্য। আরিয়ান মায়াকে তার জীবনে পেয়ে অনেক খুশি হয়। তারপর আরিয়ান আর মায়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। যদিও আরিয়ানের বেতন খুব কম ছিলো তাও মায়া কষ্ট করে হলেও সংসার চালিয়ে নিতো। কোন এক মাসে আরিয়ানের বেতন আসতে একটু দেরী হলে সে কয়দিন না খেয়ে উপস করেই থাকতো তারা। মায়া কখনো আরিয়ানের কাছে কিছু চায় না। সেই এক পুরাতন কাপড় দিয়েই জীবন চালিয়ে দিতো। এই অভাবের ভেতরেও আনন্দের সাথেই বেঁচে ছিলো মায়া। কারন তার কাছে আরিয়ানের সত্য ভালোবাসা ছিলো। মায়া এতোটা অভাবের মধ্যেও কখনো আরিয়ানকে ছেরে জাওয়ার কথা ভাবেনি বরং আরিয়ানের বেঁচে থাকার আরো প্রেরণা জুগিয়েছে।
মানুষ বলে অভাব যখন দরজা দিয়ে ঢুকে, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। হয়তো তাই আরিয়ান আর মায়ার ভালোবাসার ঘরে কোন জানালাই ছিলো না। অভাব যদি তাদের ঘরে ঢুকে তাহলে অভাবকেও ভালোবাসা আকড়ে ধরে বাঁচতে হয়।

তাদের জীবনটা স্বাভাবিক ভাবেই কাটছিলো তবে তাদের জীবনে নেমে আসে একটা কাল। হঠাৎ আরিয়ানের অফিসের লোকেরা ষড়যন্ত্র করে আরিয়ানকে তার কেরাণীর চাকরী থেকে বরখাস্ত করেন। চাকরীটা অফিসের বসের এক বন্ধুর মামাকে দিয়ে দেওয়া হয়। আরিয়ানের সংসার চলতো এই বেতনের টাকায়। তাই সে অনেক আকুতী মিনতী করে যাতে তাকে চাকরী থেকে না বের করে দেওয়া হয়। তবে তারা কেউই আরিয়ানের আর্তনাদ শুনে না। তাকে অপমান করে চাকরী থেকে বের করে দেওয়া হয়। আরিয়ান আর মায়ার অভাবের সংসারে আরো অভাব দেখা দেয়।
এরপর আরিয়ান বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য চেষ্টা করেন। তবে কোনো জায়গায়ই পায়নি। আরিয়ান আর মায়া শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পরে। টানা ৩ দিন তারা বিলাস বাংলোতে না খেয়ে পরে থাকে। পৃথিবীর কেউ তাদের খোজ নিতে আসেনি। তারা বুঝেছিলো এই অভাব থেকে একমাত্র মৃত্যুই তাদের মুক্তি দিতে পারে। তবে মায়া শেষ বারের মতো একবার বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলো। সে আরিয়ানকে বাড়িতে রেখে তার লেখা হরর গল্পের ডায়েরীগুলো নিয়ে আবার রওনা দেয় নিকটস্হ একটা প্রকাশনিতে। যদি তারা লেখাটা পছন্দ করেন এবং কিছু টাকা দেয় এই ভেবে। তবে প্রকাশনিতে আগের মতো ঠিক একই ঘটনা ঘটলো। তারা মায়াকে পাগল , সাইকো বললো। আর বললো:
-আপনার কী মনুষ্যত্ব বলে কিছু নেই? এই সব পৈশাচিক বিষয় নিয়ে কি লিখেন এইসব? দুই টাকার লেখকরাও যদি আসে বই বের করতে তাহলে এতো বই পড়বে কে? আপনি বরং পাগলা গারদে যান । এইসব সাইকো গল্প নিয়ে ঐটাই আপনাদের আসল ঠিকানা।

অপমানিত হয়ে লজ্জায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে মায়া। বাড়িতে ঢুকে আরিয়ানকে ডাকতে থাকে মায়া। তবে আরিয়ানের কোন উত্তর আসছিলো না ঘর থেকে। শেষে মায়া আরো রেগে ঘরে প্রবেশ করলো। ঘরে ঢুকে যাহ দেখলো তার জন্য মায়া মোটেও প্রস্ত্তত ছিলো না। ঘরের ফ্যানে জুলেছিলো আরিয়ানের মৃত দেহ। মায়া অবাক হয়ে কষ্টে চিৎকার দিয়ে উঠে:-
-আরিয়ান! এটা তুমি কি করলে?
তোমার কি হয়েছে!!

মায়া স্বপ্নেও কল্পনা করেনি এমন কিছুও দেখতে হবে তার চোখে। মায়া ভয়ে কষ্টে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এরপাশেই একটা চিঠি দেখতে পায় মায়া। মায়া চিঠিটার লেখা দেখেই বুঝতে পারে এটা আরিয়ান লিখেছে। চিঠিটা পড়ে মায়া আরো ভেঙে পরে আর কাঁদতে থাকে। চিঠিটাতে লেখা ছিলো:-

প্রিয় মায়া,
জানি হয়তো আমার এইরকম হঠাৎ মৃত্যুতে অনেক কাঁদছো। তবে আমি আর কি করতে পারি বলো। না খেয়ে আমার চোখের সামনেতো আর তোমাকে মারা যেতে দেখতে পারিনা। তোমার এতো সুন্দর জীবন ছেরে তূমি শুধু আমার জন্য চলে এসেছো। আমি তোমাকে কষ্ট আর অভাব ছারা আর কিছুই দিতে পারিনি। আমার সাথে আর কিছুদিন থাকলে হয়তো তুমিও মারা যাবে। তুমি চলে যাও মায়া। আবার তোমার বাবা আর মায়ের কাছে ফিরে যাও। হয়তো বকাবকি করবে তবে একসময় ঠিকই তোমায় মেনে নিবে তারা। আমাকে ভুলে নতুন ভাবে জীবন শুরু করো তুমি।তোমাকে আমার জন্য বাঁচতে হবে মায়া। পৃথিবীটা অনেক কষ্টের। আমি জীবনের কাছে হেরে গেছি। বেঁচে থাকার চেয়ে মারা জাওয়াটাই অনেক সহজ মনে হয়েছে আমার কাছে। ভালো থেকো। আর হ্যাঁ তুমি অনেক ভালো গল্প লেখো কিন্তু। আমি তোমার সবগুলো ডায়েরী পড়েছি। দেখো একদিন সবাই তোমার লেখার মূল্য দিবে।
ভালোবাসি তোমায় অনেক।

ইতি
তোমার প্রিয় অসুখ
আরিয়ান

চিঠিটা পড়ে আরো বেশি করে কাঁদতে থাকে মায়া।

মায়ার এতো কিছুর মধ্যে বেঁচে থাকারো একমাত্র আশা ছিলো আরিয়ান। কিন্তু সেই আরিয়ানো তাকে ছেরে চলে গেলো।

এরপর মায়া একাই আরিয়ানকে ফ্যান থেকে নিচে নামায়। মায়া কিছুতেই বুঝতে পারছিলো না তখন তার কি করা উচিত। তাদের আশেপাশেও খুব একটা বাড়িঘর ছিলো না। মায়া দৌড়ে তাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দুরে যেখানে মানুষ থাকে তাদের কাছে সাহায্য নিতে যায়। সে তাদের বলে যে
-আমার স্বামী মারা গেছে। আপনারা দয়া করে আমার সাথে আমার বাড়িতে চলুন। আমি বুঝতেছি না আমার কি করা উচিত। কেউ আমাকে একটু সাহায্য করেন।

তখন বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা। তাই গ্রামের কেউ সাহায্য করতে মায়ার পাশে এশে দাড়ায়নি। মায়া মসজিদের ইমাম সাহেবকে যখন বললো তার স্বামী আত্মহত্যা করে মারা গেছে। তার জানাজা পড়াতে হবে। ইমাম সাহেব তখন ভারী গলায় মায়াকে বলে দেয়:
-আত্মহত্যাকারী সোজা জাহান্নামে যাবে। এদের জানাজা পড়ানোও পাপ। আপনি বরং লাশটাকে কোন নদীতে ভাসিয়ে দেন।

মায়া এই কথাগুলো শুনে আরো কাঁদতে কাঁদতে আবার বাড়িতে ফিরে আসে। আরিয়ানের লাশের পাশে বসে থাকে অনেক্ষন আর ভাবতে থাকে এই পৃথিবীতে কি তার আপন বলে কেউই নেই। কেউ কি পারতোনা দায়িত্ববোধ থেকে তার পাশে এসে দাড়াতে! তার পরিবারো আর কোন খোজ নিতে
আসেনি তার কাছে।

এরপর মায়ার মনটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। সে নিজ হাতেই আরিয়ানকে গোসল করিয়ে বাড়ির পেছনে নিজে একটা কবর খুরে আরিয়ানের দাফন শেষ করে। এরপর পাগলের মতো কবরকে আকড়ে ধরে শুয়ে থাকে আর কাঁদতে থাকে আরিয়ান আরিয়ান বলে।


মায়া এখন জানে তাকে কি করতে হবে। আরিয়ানের মতো তাকেও আত্মহত্যা করতে হবে। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হোক তাদের ভালোবাসার সংসার এর। তবে মৃত্যুর আগে মায়ার মনে এক হ্রাস ঘৃণা আর অভিমান জন্মে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর প্রতি। সে ভাবতে থাকে এই পৃথিবী আর পৃথিবীর মানুষ চাইলেই তাকে আর আরিয়ানকে একটা স্বাভাবিক জীবন দিতে পারতো। তবে সবাই তাদের সাথে বেঈমানী করেছে। মায়া ভাবতে থাকে নিজের স্বার্থপর পরিবারের কথা, ভাবতে থাকে আরিয়ানের অফিসের সেই স্বার্থপর লোকগুলোর কথা, ভাবতে থাকে তার লেখা গল্পগুলো পড়ে উপহাস করা সেই প্রকাশনির মানুষ গুলোর কথা, ভাবতে থাকে এই গ্রামের মানুষগুলো কেউই তাদের বিপদের দিনে এগিয়ে আসলো না এই কথা। পৃথিবীর সব মানুষই স্বার্থপর এবং নিষ্ঠুর। তাই মায়া ভাবে এই পৃথিবীর নিষ্ঠূরতা যখন তাকে আর আরিয়ানকে সুখি হতে দেয়নি তো এই পৃথিবীর কারোই আর সুখি হওয়ার অধিকার নেই।

পৈশাচিক গল্প লেখতে লেখতে পিশাচ ক্ষমতার উপর কিছুটা বিশ্বাস ছিলো মায়ার। তাই মায়া তার মনুষ্যত্বকে বিসর্জন দিয়ে দেয়। নিজের মনে পৃথিবীর জন্য অনেক ঘৃণা নিয়ে শুরু করে এই পিশাচ খেলা।
এমনিতে আগেই এইদিকে কেউ আসতোনা। আর আরিয়ানের মৃত্যুর পর আরো কেউ আসেনা। তাই মায়া সারাদিন নিজের মুখ ঢেকে আশেপাশের গ্রামে ঘুরে ঘুরে বাচ্চা ছেলেমেয়েদের চুরি করে তার বিলাস বাংলোতে এনে জমা করে। ৭ টা বাচ্চা যখন পুরন হয় তার বাংলোতে। তখন নিজের বাড়িতে পিশাচ দেবীকে ডাকার জন্য একটা পুজার আয়োজন করে মায়া। পিশাচ দেবীকে তুষ্ট করার জন্য সেই নিষ্পাপ বাচ্চা ছেলেমেয়েদের বলি চড়ায় মায়া। একের পর এক বাচ্চার মাথা নির্দয়ের মতো শরীর থেকে আলাদা করতে থাকে মায়া। এইভাবেই পূজা শেষ করে মায়া ।এরপর পিশাচ দেবী মায়ার প্রতি তুষ্ট হয়। এবং মায়াকে বলে :-

-আমি তোর প্রতি তুষ্ট। বল তুই কি চাস? আমি তোকে এই পৃথিবীর শেষ্ঠত্ব দিতে পারি।
-তুমি কি আরিয়ানকে আবার ফিরিয়ে দিতে পারবে?
-এটা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কাজ। এটা করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
-তাহলে আর পৃথিবীর শেষ্ঠত্বে আমার কি আসে যায়! আমাদের এই নিষ্ঠুর পৃথিবী সুখে বাঁচতে দিলো না। তাই আমিও পৃথিবীকে সুখি দেখতে চাই না। পৃথিবীকে ধ্বংস করতে চাই। আমাদের সংসার যখন নষ্ট হয়েছে তখন পৃথিবীর আর কোন সংসার যাতে সুখি না হতে পারে সেইটা চাই। পৃথিবীটাকে অভিশপ্ত করতে চাই।
-আমি কি করতে পারি তোমার জন্য! বলো? তুমি যেভাবে বলবে আমি সেভাবেই কাজ করবো।

এরপর মায়া তার লেখা
হরর গল্পের সব ডায়েরী গুলো লাইব্রেরীর একটা গোপন সিন্দুকে রেখে দেয়। শুধু একটা বই বাহিরে রাখে।যে বইটার নাম ছিলো "পিশাচ সংসার।"এই গল্পটাতে নায়কের নাম ছিলো আরিয়ান এবং নায়িকার নাম ছিলো মায়া। নিজেদের নাম ব্যবহার করে এই প্রথম মায়া কোন গল্প লিখেছিলো মায়া। তবে তার কোন বই ইতো আর প্রকাশ হয়নি। মায়া তাই পিশাচ দেবীকে তার লেখা "পিশাচ সংসার" বইটা দেয় এবং বলে:-

-আমার এই বইটাকে তুমি অভিশপ্ত করে দাও। আজকের পর থেকে যাতে আর কোন সংসার সুখের না হয় সেই অভিশাপ তুমি এই বইটাতে দাও। আমি বেঁচে থাকতে যখন এই বই কেউ পড়েনি তখন আমার মৃত্যুর পর যদি কোন দম্পতি বইটা পড়ে তাহলে তারা সাথে সাথে যেনো মানুষ খেকো পিশাচ হয়ে যায়। তাদের খাবার হবে মানুষের রক্ত আর মাংস। এক পর্যায়ে তারা আর মানুষকে হত্যা করতে না পেরে যখন কোন জায়গায় আটকা পরে যাবে তখন তারা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করে ক্ষুধা নেভাবে।

পিশাচ দেবী, মায়া এর কথামতো বইটাকে অভিশপ্ত করে দেয়। এরপর মায়া বইটাকে তাদের বিলাস বাংলোর লাইব্রেরীতে রেখে আসে এবং ঘর থেকে একটা ছুরি এনে আরিয়ানের কবরের পাশে বসে পরে। তারপরেই ছুরিটা নিজের গলায় চালিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। তার দেহটা ২ দিন আরিয়ানের কবরের উপরেই পরেছিলো। এরপর তার দেহটাকে
আর সেখানে দেখা যায় না। হয়তো তার শরীরটা পিশাচ রাজ্যে নিয়ে জাওয়া হয়। পৃথিবীতে পড়ে থাকে শুধু তার অভিশপ্ত বইটা।

এরপর থেকেই একের পর এক দম্পতি এখানে আসতে থাকে এবং বইটা পড়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করতে নেমে যায়। তাদের সংসার হয়ে উঠে পিশাচ সংসার। শামীম এবং জাহানারাও এখন এর স্বীকার।

জানা নেই এর পরে আর কতগুলো মানুষের প্রান নিয়ে শান্তি পাবে শামীম এবং জাহানারা।

পরেরদিন শামীম আর জাহানারা এর শান্তির ঘুম আবার রক্ত তৃষ্ণা আর মাংসের ক্ষুধাও ভেঙে যায়। তারা আবার মুখে কাপড় বেধে হাতে ছুরি নিয়ে আরেকটা তাজা দেহের খুঁজে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
★★★★★




. . . . . Continue . . . . .
◆তৃতীয় পর্ব.....coming soon.....

No comments

এক চিলতে রোদ্দুর।

খুব সাবধানে পায়ের আওয়াজ বাঁচিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লো সুচেতনা। পবিত্র ওপাশ ফিরে এখনও ঘুমাচ্ছে। বাথরুমের লাইট জ্বেলেই দুফোঁটা ইউরিন ফেললো প্...

Powered by Blogger.